রংপুরে কফি হাউজের ব্যবসা থেকে আশরাফুজ্জামান এখন সফল খামারী
স্টাফ রিপোর্টার॥ করোনাকালীন সময়ে কফি হাউজের মন্দা ব্যবসার কারনে রংপুরে কফি হাউজের ব্যবসা থেকে আশরাফুজ্জামান এখন সফল খামারী। গরুর খামার ও মাছের চাষ দুই মিলে এখন তিনি সফল খামারী। আশরাফুজ্জামান রংপুর নগরীতে কফি হাউজের ব্যবসায় একজন সফল ব্যবসায়ী। একটা কফি হাউজ থেকে দুটি কফি হাউজের উদ্যোক্তা। দুটি প্রতিষ্ঠান মিলে প্রায় ৫০ জন কর্মরত। কিন্তু করোনা মহামারী শুরু হওয়ায় কফি হাউজের ব্যবসায় ধস নেমে আসে। প্রায় দেড় বছরে কয়েকলাখ টাকার ক্ষতির মুখে পরেছেন। করোনাকালীন এই সময়ে তিনি গ্রামের বাড়ি আমাশু কুকরুলে গরুর খামার ও মাছ চাষের পরিকল্পনা করেন। সেই পরিকল্পনা থেকে শুরুতে ২ টি গরু দিয়ে গরুর খামার শুরু করেন। খামারে দেশাল, শাহিওয়াল, ফ্রিজিয়ান জাতের মিলে বর্তমানে ২৫ টি গরুর রয়েছে। এর মধ্যে ৯ টি বড় গরুর বাকীগুলো মাঝারি। সবমিলিয়ে অর্ধ কোটি টাকার গরুর রয়েছে তার খামারে। অনলাইনে ও হাটে গরুর দামে বেশ সাড়া পাচ্ছেন তিনি।
আশরাফুজ্জামান খামারের পাশে ৩০ শতাংশ জমির মধ্যে মাছ চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তিনি পাবদা মাছের চাষ করছেন। মাছ চাষে প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচে ১ থেকে দেড় লাখ টাকার লাভ হবে বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে আশরাফুজ্জামান বলেন, করোনা মহামারিতে কফি হাউজের ব্যবসাটা মন্দা যাচ্ছিলো। তাই বসেই দিন কাটছিলো। এর মাঝে সৃজনশীল চিন্তা থেকে গরুর খামার ও মাছের চাষ শুরু করেছেন। সঠিক পরিকল্পনা ও মেধা শ্রমের বিনিয়োগ থাকলে সফলতা আসবেই।